সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৪৫ হাজার নতুন শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। দীর্ঘদিন প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ আটকে থাকায় স্কুলগুলোতে শিক্ষক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ সংকট নিরসনে প্রায় ৪৫ হাজার শিক্ষক পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। জুলাই মাসে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিকেলে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সভায় জানানো হয়, সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনা মহামারির বাস্তবতায় নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও দশ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে করে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছ, যা পাঠদান কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে। এ সমস্যা নিরসনকল্পে মন্ত্রণালয় পূর্বের বিজ্ঞপ্তির শূন্যপদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্যপদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন বলেন, ৩২ হাজার ৫৭৭টি পদে নিয়োগের জন্য ১৩ লাখের বেশি আবেদন জমা পরেছে। আর গত প্রায় দেড় বছরে দশ হাজারের বেশি শিক্ষক পদ শূন্য হয়েছে। সবসহ মোট প্রায় ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগের পদে যারা আবেদন করেছেন তারাই মোট প্রায় ৪৫ হাজার পদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। একসঙ্গে প্রায় ৪৫ হাজার শিক্ষক পদে নিয়োগ হবে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, জাতির উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে শিক্ষার বিকল্প নেই, এবং প্রাথমিক শিক্ষা জাতির ভীত নির্মাণ করে, তাই সরকার মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। Decision to recruit around 45,000 new teachers in government primary schools